BCS Viva হলো চাকরি পরীক্ষার সর্বশেষ এবং সবচেয়ে কঠিন একটা ধাপ । তাই যে কোনো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার অন্যতম আতংকের নাম হচ্ছে ভাইভা । সেটা যদি বিসিএস ভাইভা হয় তাহলে তো আরও বেশি আতঙ্ক থাকে । কারণ বিসিএস ভাইভায় পাস করলে ক্যাডার না পেলেও নন-ক্যাডার বিভিন্ন পদে সুপারিশ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, কিন্তু ভাইভা ফেল মানে সব শ্রম-সাধনা শেষ! অন্যান্য চাকরির ভাইভার চেয়ে বিসিএস ভাইভা প্রস্তুতির পরিধি বড়। ভাইভা বোর্ডে যাওয়ার আগে প্রস্তুতি যদি ভালো থাকে তবে আত্মবিশ্বাস বাড়ে । আত্মবিশ্বাস যে কোনো কাজের অর্ধেক সাফল্য নিয়ে আসে ।
ভাইভা দিনের প্রস্তুতি : আপনার ভাইবা যে তারিখে থাকবে সেই দিনটির বাংলা তারিখ, বাংলা মাসের নাম, আরবি তারিখ, আরবি মাসের নাম। ওই দিন শীর্ষ স্থানীয় বাংলা এবং ইংরেজি পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। সম্ভব হলে ওই তারিখে ঐতিহাসিকভাবে কোনো ঘটনা থাকলে তার সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা নিয়ে রাখা।
নিজের সম্পর্কে জানা : নিজের নামের অর্থ, আপনার নামে কোনো স্বনামধন্য ব্যক্তি, আপনার জন্মদিনের তারিখটি বাংলা বর্ষপঞ্জিতে কত তারিখ ও মাসের নাম, হিজরিতে কত তারিখ এবং মাসের নাম জেনে যাবেন। এ তারিখে কোনো মনীষী জন্মগ্রহণ করে থাকলে তার সম্পর্কে জেনে যাবেন ।
নিজ পরিচিতি দেয়ার প্রস্তুতি : সচরাচর সব ভাইভা শুরু হয় Introduce yourself প্রশ্নটি দিয়ে । ভাইভা বোর্ডে নিজেকে বাংলা অথবা ইংরেজিতে অনবরত পরিচয় দেয়ার যোগ্যতা অর্জন জরুরি। আপনাকে ‘ Introduce yourself’ বললে অবশ্যই ইংরেজিতে বর্ণনা করবেন । অন্যথায় বাংলা অথবা ইংরেজি যে কোনো মাধ্যমে করতে পারেন ।
নিজ এলাকা সম্পর্কে জানা : আপনি স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে যে জেলা উপজেলার নাম ব্যবহার করেছেন তার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য : যেমন—জেলার আয়তন, সীমানা, নামকরণ, প্রতিষ্ঠা সাল, জনসংখ্যা, শিক্ষার হার, প্রধান ধর্ম ও উপজাতি, উপজেলা, বিখ্যাত ব্যক্তি, নদী, দর্শনীয় স্থান, পত্রপত্রিকা, সংসদের আসন ও সংসদ সদস্যদের নাম, বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মুক্তিযুদ্ধে কোন সেক্টরে ছিল, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের নাম, মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম, মুক্তিযুদ্ধের সময়ের বিভিন্ন ঘটনা, শত্রুমুক্তির তারিখ, ভাষাসৈনিকদের নাম, চিহ্নিত রাজাকারদের নাম, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, ইউএনও, জেলা ও উপজেলা চেয়ারম্যানদের নাম জেনে যেতে হবে ।
নিজের অর্জিত শিক্ষাগত তথ্য : আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগের চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অথবা প্রতিষ্ঠান প্রধান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভিসি, আপনার স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা বিখ্যাত ব্যক্তি, আপনার স্কুল-কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকাল ইত্যাদি ভালোভাবে জেনে যাবেন । আপনি যে বিষয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন তার পঠিত বিষয়, আপনার পঠিত বিষয়ের জনকসহ সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয়বস্তুর ওপর প্রশ্ন হতে পারে । এ ক্ষেত্রে আপনার অনার্সের সিলেবাস থেকে কোর্সগুলোর নাম এবং বেসিক বিষয়, আপনার অনার্সে পঠিত বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। অনেক পরীক্ষার্থীর ধারণা, শুধু জেনারেল ক্যাডার চয়েজ দিলে সংশ্লিষ্ট বিষয় থেকে কিছু জিজ্ঞেস করে না। এটা একেবারে ভুল ধারণা। জেনারেল ক্যাডারে ভাইভা দিলেও আপনার পঠিত বিষয় থেকে প্রশ্ন করা হতে পারে। কারণ আপনি উচ্চশিক্ষায় যা পড়েছেন, তা নিয়ে জিজ্ঞেস করলেই আপনার দক্ষতা বোঝা যাবে ।
নিজ পছন্দের ক্যাডার ক্রমের যুক্তি উপস্থাপন : বিসিএস আবেদনের ক্যাডার চয়েজ তালিকায় আপনার পছন্দের ক্যাডারসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো পড়াশোনা করে যাবেন। সাধারণত আপনার পছন্দের প্রথম ও দ্বিতীয় ক্যাডার নিয়ে জিজ্ঞেস করা হয় । আপনার পছন্দের ক্যাডারের পদসোপান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও এর সচিব এবং মহাপরিচালকের নাম, সংশ্লিষ্ট পদক, ক্যাডারের স্বনামধন্য সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের নাম, ট্রেনিং একাডেমি, আপনার পদায়নস্থল, বিভিন্ন পদের দায়িত্ব ও ক্ষমতা, সর্বোচ্চ স্তর বা গ্রেড, পছন্দের ক্যাডার, এর সঙ্গে নিজের পঠিত সাবজেক্টের সম্পর্ক ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত পড়াশোনা করে যাবেন । প্রত্যেক ক্যাডারসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো নিয়ে গাইড বই পাবেন বাজারে, ভাইভা প্রিপারেশনের জন্য। প্রথমেই প্রফেসরসের বিসিএস ভাইভা সহায়িকা (সব ক্যাডার); অ্যাসুরেন্স, ওরাকল বা অন্যান্য প্রকাশনীর পররাষ্ট্র, প্রশাসন, পুলিশ ও অন্যান্য ক্যাডারসংশ্লিষ্ট বই থেকে আপনার পছন্দের ক্যাডারের বিস্তারিত জেনে নেবেন । আপনার পছন্দের ক্যাডারসংশ্লিষ্ট প্রশ্নের ধরন জানতে আপনার আগের ভাইভাপ্রার্থীদের ভাইভা প্রশ্নগুলো সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করতে পারেন। ফেসবুকের জব প্রিপারেশন-সংক্রান্ত গ্রুপ ও পেইজ, যেমন— University Admission and BCS এ ক্ষেত্রে আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।
আপনার পছন্দ প্রশাসন ক্যাডার হলে—সহকারী কমিশনার, ইউএনও, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনারের দায়িত্ব ও ক্ষমতা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেসির সময় প্রয়োগকৃত আইন ও দণ্ড, কেন্দ্রীয় প্রশাসন ও মাঠ প্রশাসন, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, মন্ত্রিপরিষদসচিব, ফৌজদারি কার্যবিধি প্রভৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন। আপনার পছন্দ পুলিশ ক্যাডার হলে—পুলিশের বিভিন্ন পদের র্যাংক ব্যাজ, সহকারী পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, পুলিশ সুপার, ডিআইজির দায়িত্ব ও ক্ষমতা, বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক আইজিপির নাম, পুলিশ পদক, সারদা ও অন্যান্য পুলিশ ট্রেনিং একাডেমি, মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের ভূমিকা, পুলিশের বিভিন্ন ব্রাঞ্চ, পুলিশ আইন ১৮৬১, পিআরবি, দণ্ডবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, দেওয়ানি কার্যবিধি প্রভৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে যাবেন। আপনার পছন্দ স্বাস্থ্য বা শিক্ষা ক্যাডার হলে ক্যাডারসংশ্লিষ্ট তথ্যগুলোর সঙ্গে আপনার বিষয়ভিত্তিক প্রফেশনাল জ্ঞানও যাচাই করা হবে ।
ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা : বাংলায় মৌর্য-পাল-সেন-মুসলিম-সুলতানি-মোগল শাসন, ব্রিটিশ শাসন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, পাকিস্তান রাষ্ট্রের ইতিহাসসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলন ও যুদ্ধ, যেমন—পানিপথের যুদ্ধ, পলাশীর যুদ্ধ, সিপাহি বিদ্রোহ, বঙ্গভঙ্গ, বঙ্গভঙ্গ রদ, নীল বিদ্রোহ, ফরায়েজি আন্দোলন, লাহোর প্রস্তাব, দ্বিজাতিতত্ত্ব, দেশ ভাগের ঘটনা ও এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে হবে । আপনাকে অবশ্যই বাংলাদেশের ইতিহাস সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে হবে। সেজন্য ভাষা আন্দোলন, ৫৪-এর নির্বাচন, ৬২-এর শিক্ষা কমিশন, ৬ দফা, সত্তরের নির্বাচন, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা জরুরি ।
ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ধারণা : ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে আপনার পরিষ্কার জ্ঞান থাকতে হবে । । বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন, যুক্তফ্রন্ট, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, ছয় দফা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, উনসত্তরের গণ-আন্দোলন, সত্তরের নির্বাচন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠিত বিভিন্ন ঘটনাবলি, অপারেশন সার্চলাইট, স্বাধীনতার ঘোষণা, মুজিবনগর সরকার, অপারেশন জ্যাকপট, সেক্টর, সেক্টর প্রধান, মুক্তিযুদ্ধের খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা, বীরশ্রেষ্ঠর নাম, পদবী, জন্মস্থান, জন্ম-মৃত্যুর তারিখ, বীরাঙ্গনা, বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ড, আত্মসমর্পণ চুক্তি, জাতীয় চার নেতা সম্পর্কে বিস্তারিত (নাম, জেলা, অবদান, জন্ম-মৃত্যু সাল, সন্তানদের নাম, সন্তানদের কর্মজীবন) মুক্তিযুদ্ধের সময়কার বিভিন্ন দেশের ভূমিকা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারের ভূমিকা সম্পর্কে জেনে রাখা অতি জরুরি । অ্যান্থনি মাসকারেনহাসের ‘দ্য রেইপ অব বাংলাদেশ’, ‘লিগ্যাসি অব ব্লাড’, এম আর আক্তার মুকুলের ‘আমি বিজয় দেখেছি’, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট, সংবাদপত্রের বিভিন্ন আর্টিকল থেকে তথ্য নোট করে নেবেন। বাস্তব ধারণা নিতে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে যেতে পারেন ।
বাংলাদেশ বিষয়াবলীঃ বাংলাদেশের ভৌগোলিক অবস্থান ও সীমানা, জাতীয় পতাকা, জাতীয় প্রতীক ও জাতীয় সংগীত, বিভিন্ন উপজাতি ও প্রাচীন জনপদ, সচিবালয়, মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, বিভাগ, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন, ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্স, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেত্রী, স্পিকার, সংসদ উপনেতা, চিফ হুইপ, প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, মন্ত্রিপরিষদসচিব, তিন বাহিনীর প্রধান, আইজিপি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-উপমন্ত্রী-সচিব, পিএসসির চেয়ারম্যান-সদস্যসচিব, এনবিআর চেয়ারম্যান, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক) সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্যসূত্র থেকে জেনে নেবেন।
বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানা : বাংলাদেশের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর জীবন ও সংগ্রাম, স্বাধীনতাসংগ্রামে তাঁর অবদান সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা রাখতে হবে। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড, হত্যাকারীদের সম্পর্কে বিস্তারিত, হত্যাকাণ্ডের বিচার, ফাঁসি ও পলাতক আসামিদের অবস্থান সম্পর্কেও বিস্তারিত জেনে যাবেন। এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর লিখিত বই ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা’, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লেখা ‘শেখ মুজিব আমার পিতা’, আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইট, উইকিপিডিয়া, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সংবাদপত্রের বিভিন্ন আর্টিকল—তথ্যসূত্র হতে পারে। ৭ই মার্চের ভাষণ, বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনসংক্রান্ত ভিডিওগুলো অনলাইন থেকে দেখে নিতে পারেন। এ ছাড়া ধানমণ্ডির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধুর সমাধিসৌধ পরিদর্শনের বাস্তব জ্ঞান আপনার পঠিত জ্ঞানকে আরো সমৃদ্ধ করবে ।
সংবিধান সম্পর্কে ধারণা : সংবিধান সম্পর্কে বিশ্লেষণাত্মক জ্ঞান ভাইভার জন্য অপরিহার্য। এ ক্ষেত্রে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সাদা রঙের মূল সংবিধান, আরিফ খানের সংবিধানের ব্যাখ্যামূলক বই, মো. আব্দুল হালিমের সংবিধানসংক্রান্ত বইগুলো দেখতে পারেন ।
বর্তমান সরকার এবং মন্ত্রিপরিষদ : বর্তমান সরকার, সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদের সংখ্যা, সরকারের অর্জন, বিভিন্ন পদক, বহির্বিশ্বে বিভিন্ন সংস্থায় অর্জিত পদ-পদবি ইত্যাদি।
বিশ্বে চলমান ঘটনা এবং ঘটে যাওয়া আলোচিত ঘটনা : চলমান বিশ্বের বিভিন্ন আলোচিত-সমালোচিত ঘটনা, ঘটনার পূর্বে ঘটনা, রাজনৈতিক বিশ্লেষণ, ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনীতিক সম্পর্ক, বাংলাদেশ সংবিধানের বিভিন্ন খুঁটিনাটি, সংবিধানের সংশোধনী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানা রাখতে হবে । বর্তমান সরকারের উন্নয়নসংক্রান্ত তথ্য (যেমন—মেগা দশ প্রজেক্ট ও বিশেষ উদ্যোগগুলো), ভিশন-২০২১, ভিশন-২০৪১, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন ইস্যুর বিস্তারিত তথ্য (যেমন—ডেঙ্গু), এমনকি ভাইভার দিনে বাংলা/ইংরেজি/আরবি তারিখ ও সাল, ভাইভার দিনে গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকার শিরোনাম ইত্যাদি থেকেও প্রশ্ন হতে পারে। এর জন্য ভাইভার সময়গুলোতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সংবাদ, দৈনিক সংবাদপত্র ও আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটে নিয়মিত চোখ রাখতে হবে । যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্র-ইরান দ্বন্দ্ব্ব, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, কাশ্মীর সংকট, এমডিজি ও এসডিজি (সময়কাল, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, বাংলাদেশের সফলতা ইত্যাদি), রোহিঙ্গা ইস্যু, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক, বাংলাদেশ-মিয়ানমার সম্পর্ক, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক, থেকেও প্রশ্ন হতে পারে।
*আপনি নারী পরীক্ষার্থী হলে নারী উন্নয়নসংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য জানতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন, CEDAW সনদ, সংবিধানে নারীসংক্রান্ত অনুচ্ছেদ, মন্ত্রিপরিষদে নারী, প্রশাসনে নারী ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে হবে । *
নিজ পোশাক এবং ব্যক্তিত্বে নজর দিন : ভাইভা বোর্ডে আপনার সঙ্গে বেমানান এমন পোশাক পরবেন না। নিজেকে খুব স্মার্ট দেখানোর জন্য খুব উজ্জ্বল পোশাক পরা বোকামি। নারীর পোশাক হিসেবে হালকা শাড়ি, ছেলেদের কালো অথবা এক রঙের প্যান্টের সঙ্গে সাদা অথবা হালকা চেকের শার্ট পরাই ভালো ।
বিসিএস প্রিলিমিনারি,বিসিএস লিখিত ও বিসিএস ভাইভা অভিজ্ঞতা সহ বিসিএসের প্রস্তুতিমূলক সকল তথ্য পেতে আমাদের ইভেন্টে ইন্টারেস্টেড হোন।
Facebook Event: ৪১তম বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি এবং প্রশ্ন সমাধান