বঙ্গভঙ্গ ব্রিটিশ শাসনামলের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। যা ইংরেজিতে Partition of Bengal নামে পরিচিত। ব্রিটিশ ভারতের শাসনতান্ত্রিক সংস্কার ও অগ্রগতির ক্ষেত্রে বঙ্গভঙ্গ কে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রায় ২ লক্ষ বর্গ মাইল আয়তনের এই বিশাল অবস্থার প্রশাসনিক কার্যক্রমে সুবিধার্থে ভারতের বাংলা প্রেসিডেন্সিকে বিভক্ত করে পূর্ব বাংলাকে আসাম এর সাথে যুক্ত করে পূর্ববঙ্গ এবং আসাম নামে নতুন একটি প্রদেশ গঠন করেন। ঢাকা হয় প্রদেশের রাজধানী, অপরদিকে পশ্চিমবঙ্গ বিহার ও উড়িষ্যা কে একত্রিত করে বাংলা প্রদেশ গঠন করেন। বাংলা প্রেসিডেন্সিকে এভাবে দুটি প্রদেশে বিভক্ত করে ১৯০৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর যে নতুন প্রদেশ গঠন করা হয় তা ইতিহাসে বঙ্গভঙ্গ নামে পরিচিত।
আর্টিকেলটি পড়লে যা যা জানতে পারবেন?
- বঙ্গভঙ্গ কত সালে হয়?
- বঙ্গভঙ্গ কে করেন?
- ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ কেন হয়েছিল?
- বঙ্গভঙ্গ ফলাফলগুলি কি কি?
- বঙ্গভঙ্গ রদ করেন কে এবং কত সালে?
- বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ কি কি?
- বঙ্গভঙ্গ রদে মসলমানদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
বঙ্গভঙ্গের কারণ (Causes of Partition of Bengal)
১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের পেছনে সুনির্দিষ্ট বেশ কয়েকটি কারণ বিদ্যমান ছিল। যথাঃ
- প্রশাসনিক কারণ: বঙ্গভঙ্গের পেছনে প্রশাসনিক কারণ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রায় ২ লক্ষ বর্গ মাইল আয়তন বিশিষ্ট বাংলা প্রেসিডেন্সি জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৭ কোটি 80 লক্ষ। এ ভূখন্ডের প্রদেশটিকে কেন্দ্র করে একজন গভর্নর এর পক্ষে শাসন করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। বিশেষ করে নদীমাতৃক পূর্ব বাংলার যোগাযোগ, পুলিশ, ডাক-ব্যবস্থা ছিল অত্যন্ত অনুন্নত। এ প্রেক্ষিতে ১৮৫৩ সালে স্যার চার্লস গ্রান্ট সুপারিশ করেন বাংলা প্রদেশ কে দুটি ভাগে বিভক্ত করার। তৎকালীন স্বরাষ্ট্র সচিব মি. রিইজলি ১৯০৩ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রশাসনিক সুবিধার্থে ভৌগোলিক সীমারেখা পুনর্বিন্যাসের সুপারিশ করেন।
- রাজনৈতিক কারণঃ
ভাগ কর শাসন কর নীতিঃ ব্রিটিশ ভারত সরকারের চিরাচরিত প্রশাসনিক নীতি ছিল ‘Divide and Rule Policy’ অর্থাৎ ভাগ কর শাসন কর নীতি। ক্রমবর্ধমান ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সরকার উপলব্ধি করে ভারতীয়দের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে তারা ভারতবর্ষের প্রধান দুটি ধর্মকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে। এ নীতির বাস্তবায়নের জন্য তারা হিন্দু-মুসলিম বিভাজনকে দীর্ঘায়িত করার লক্ষ্যে বঙ্গভঙ্গের মতো গুরুত্বপূর্ণ কৌশল ও রাজনৈতিক হাতিয়ার ব্যবহার করে।
জাতীয়বাদী আন্দোলন নস্যাৎ করাঃ ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে ভারতীয়রা ঐক্যবদ্ধ হবার চেষ্টায় ১৮৮৫ সালে গড়ে তোলে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস। বাংলা প্রদেশে বিশেষ করে কলকাতা ছিল কংগ্রেস এর অন্যতম সূতিকাগার। ভারতীয় জাতীয়বাদী আন্দোলন এবং বিপ্লবীদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেওয়ার লক্ষে ব্রিটিশ সরকার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে বঙ্গভঙ্গ নীতি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে।
মুসলমানদের আগ্রহঃ আলীগড় আন্দোলনের ফলে মুসলমানদের মধ্যে গণজাগরণের সঞ্চার হয়। ফলে পূর্ববাংলার সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানরা নিজেদের স্বার্থ রক্ষার্থে বঙ্গভঙ্গের প্রতি সমর্থন জানান।
- অর্থনৈতিক কারণঃ
পূর্ববাংলার কৃষিজীবী মুসলিম জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ শোষণ করে হিন্দু জমিদার শ্রেণী রাজধানী কলকাতায় বিলাসবহুল জীবনযাপন করতো, বিপরীত দিকে তারা পূর্ববঙ্গের মুসলমানদের কল্যাণের জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এর ফলে মুসলমান অধিবাসীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে নবাব সলিমুল্লাহ নেতৃত্বে ব্রিটিশ সরকারের কাছে বঙ্গভঙ্গের দাবি জানায়। কলকাতা বাংলা প্রেসিডেন্সির কেন্দ্র হওয়ায় সেখানে প্রায় সমস্ত অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কলকারখানা ইত্যাদি নির্মিত হয়। আর এগুলোর চাকরি-বাকরি ও সকল সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করত কলকাতার স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। ফলে কলকাতার একচেটিয়া প্রাধান্য খর্ব করা এবং পূর্ব অঞ্চলের জনগণের সুবিধার জন্য বঙ্গভঙ্গ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
- সামাজিক কারণঃ সামাজিকভাবে পূর্ববঙ্গের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী ছিল মুসলিম, যাদের মূল পেশা কৃষি। অথচ এ অঞ্চলের অধিকাংশ জমিদার ও মহাজন ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের- যাদের অত্যাচার, নির্যাতনের কারণে মুসলমানরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। বস্তুত ব্রিটিশ শাসনের শুরুতেই ব্রিটিশ সরকার হিন্দুদের প্রতি উদার এবং মুসলমানদের উপর বৈরি নীতি অনুসরণ করতে থাকে। কাজেই ব্রিটিশ সরকার এ পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং হিন্দু জমিদারদের শোষণ, নির্যাতন ও অত্যাচারে মুসলমানদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আর সে কারণেই ১৯০৫ সালে লর্ড কার্জন বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা গ্রহণ করলে মুসলমানরা সেটাকে স্বাগত জানাই।
বঙ্গভঙ্গের ফলাফল (Impact of Partition of Bengal)
১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গের ফলে হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে পরস্পর বিরোধী প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায় তাছাড়া এর ফলাফল পরবর্তী কালের রাজনৈতিক ঘটনাবলীর উপর তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। যথাঃ
- মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিক্রিয়াঃ মুসলমানগন নতুন চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গভঙ্গের ফলে নিজেদের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। বিশেষ করে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ নেতৃত্বে মুসলমানগণ উদ্বুদ্ধ হয়ে এ পরিকল্পনাকে গ্রহণীয় হিসেবে বিবেচনা করে জাগ্রত চেতনা নিয়ে সক্রিয় হতে থাকে। পূর্ববাংলার এই সংকটময় মুহূর্তে মুসলমানদের সংরক্ষন এবং নতুন প্রদেশ কে টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যে সলিমুল্লাহ আপোষহীন সংগ্রাম করেন। পূর্ব বাংলার উদীয়মান নেতা শেখ ফজলুল হক, ধনবাড়ী জমিদার নওয়াব আলী চৌধুরী তাকে পূর্ণ সমর্থন করেন।
- হিন্দু সম্প্রদায় প্রতিক্রিয়াঃ বঙ্গভঙ্গের প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের অবস্থান ছিল নেতিবাচক। যদিও নতুন প্রদেশ গঠিত হওয়ায় নিম্নবর্ণের হিন্দুরা মুসলমানদের অনুকূলে বঙ্গভঙ্গের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করে। কিন্তু উচ্চ হিন্দু গোঁড়া হিন্দু সম্প্রদায় বঙ্গভঙ্গ কে মেনে নিতে বরং চরমভাবে বিরোধিতা শুরু করে।
- বঙ্গভঙ্গের কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়াঃ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস বঙ্গভঙ্গের বিরোধিতা নীতিকে সমর্থন করে। এতে উগ্র হিন্দু সম্প্রদায় বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আরও তীব্র আন্দোলন করতে সক্ষম হয়। বস্তুত তারা সংগঠিত কৌশলগত অকার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছিল।
বঙ্গভঙ্গ রদের কারণ (Causes of Annulment of Partition of Bengal)
পূর্ববঙ্গের জনগণের জন্য বঙ্গভঙ্গ ছিল যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। বাংলা প্রদেশে বিভক্ত হওয়ার ফলে ঢাকা পূর্ব বঙ্গের প্রশাসনিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে পরিণত হয়। বঙ্গভঙ্গের অব্যাহতি পরেই ঢাকায় নতুন নতুন অট্টালিকা, হাইকোর্ট, সেক্রেটারিয়েট, আইন পরিষদ ভবন, কার্জন হল নির্মিত হতে থাকে। লর্ড কার্জন ঢাকায় এসে ঢাকাকে নতুন শাসন বিভাগীয় এককের কেন্দ্রবিন্দু ঘোষণা করে। তিনি আরো আশা প্রকাশ করেন নতুন প্রদেশের উন্নত কৃষ্টি ও ঐতিহ্য বলে বলিয়ান হয়ে শাসন ব্যবস্থায় যোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার কে তিনি পূর্ব বঙ্গের প্রশাসনিক গভর্নর নিযুক্ত করেন। পূর্ববঙ্গের জনগণ বঙ্গভঙ্গের ফলে অত্যন্ত খুশি এবং নতুন উদ্দীপনা নিয়ে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে ব্রতী হয়।
কিন্তু শীঘ্রই বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়। জাতীয়বাদী নেতৃবৃন্দ বঙ্গভঙ্গকে হিন্দু মুসলমানদের জন্য বিভেদ সৃষ্টির একটি ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করে। তারা এটাকে অন্যায় এবং অযৌক্তিক হিসেবে বর্ণনা শুরু করে তা জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করে। তারা মনে করে যে, বাঙালি একটি স্বতন্ত্র জাতি এবং তাদের জন্য এই বিভক্তি অযথা বিভেদ ও ভাঙ্গনের সৃষ্টি করবে। কলকাতার বুদ্ধিজীবি মহল থেকে প্রচার হতে থাকে যে বঙ্গভঙ্গের অর্থ হচ্ছে মাতৃভূমিকে বিভক্ত করা এটার ফলে মাতৃভূমিকে কলঙ্কিত করা হয়েছে।
সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি, শ্রী অরবিন্দ ঘোষ, বিপিন চন্দ্র পা্ল, দাদাভাই নওরোজি ইত্যাদি বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনার অহেতুক অপমানজনক বলে মন্তব্য করেন।
ধীরে ধীরে এটার বিরুদ্ধে তীব্র অভিযান শুরু হয় এবং অনতিবিলম্বে তার রূপ পরিগ্রহ করে। আন্দোলনকারীরা বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে দ্বিবিধ অস্ত্র ব্যবহার করে। ক. বিলেতি দ্রব্য বর্জন তথা স্বদেশী আন্দোলন এবং খ. ভয়-ভীতি প্রদর্শন এবং হত্যাযজ্ঞ সাধন করে।
বিলেতি দ্রব্য বর্জনের মাধ্যমে ব্রিটিশ মিল মালিকদের ওপর প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি করা হয় যাতে ব্রিটিশ সরকার বঙ্গভঙ্গ রদ করতে বাধ্য হয়। এর ফলে সমস্ত কলকারখানা ও মিল ফ্যাক্টরি তে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। অবস্থা ব্রিটিশ সরকার আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সারা ভারতবর্ষের জাতীয়বাদের জয়গান শুরু হয় এবং জনগণ প্রচন্ড বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। আন্দোলনকারীরা আন্দোলনের তীব্রতা বৃদ্ধি করেন। ধীরে ধীরে এ আন্দোলন ‘ব্রিটিশ খেদাও’ আন্দোলনে রূপ নিতে থাকে। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনাকে ব্রিটিশ সরকারের ঘৃণ্য চক্রান্ত বলে উল্লেখ করে থাকে। তারা এটাকে ব্রিটিশ সরকারের পক্ষে ভারতবাসীদের বিভক্ত করে শাসন করার অভিনব কৌশল কৌশল বলে উল্লেখ করেন।
আন্দোলনকারীদের এ বিক্ষোভ ও হত্যাযজ্ঞের মুখে ব্রিটিশ সরকার নতি স্বীকার করতে বাধ্য হয়। ১৯১১ সালের ডিসেম্বর মাসে দিল্লীর দরবারের সম্রাট পঞ্চম জর্জের রাজ্যভিষেক উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বঙ্গভঙ্গ রদ ঘোষিত হয়।
বঙ্গভঙ্গ রদের প্রতিক্রিয়া (Effects of Annulment of Partition of Bengal)
ব্রিটিশ সরকারের ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদের ঘোষণা করায় পশ্চিমবঙ্গের হিন্দু বুদ্ধিজীবী উল্লসিত হয়ে উঠে। কেননা বঙ্গভঙ্গ রদ হয় এবং পূর্ববঙ্গ ও পশ্চিমবঙ্গ একত্রিত হওয়ায় কলকাতাকেন্দ্রিক লোকজন তাদের হারানো প্রভাব-প্রতিপত্তি ফিরে পায়। ব্যবসায়ীগণ উল্লসিত হন এ কারণে যে, কলকাতা আবারো সমগ্র বাংলার ব্যবসা-বানিজ্যের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হবে। আইনজীবীগণ ভাবলেন তাদের পূর্ব বাংলার মক্কেল আবারো কলকাতায় ছুটে আসবে। এক কথায় বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ায় কলকাতাকেন্দ্রিক হিন্দু নেতা ব্যবসায়ী ও বুদ্ধিজীবীগণ তাদের হারানো গৌরব ও প্রভাব প্রতিপত্তি ফিরে পান। ১৯১১ সালের ১২ ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার ঘোষণা শুনে মুসলিম অভিজাত ও মধ্যবিত্ত সম্প্রদায় হতাশ হয়ে পড়ে। বঙ্গভঙ্গ হওয়ার ফলে যে উচ্ছাস এবং প্রাণ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছিল বঙ্গভঙ্গ রদের কারণে তা একেবারে স্তব্ধ হয়ে যায়।
এর ফলে পূর্ব বাংলার মুসলিম জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এবং তারা ব্রিটিশ সরকারের উপর থেকে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ায় হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষার্থে মুসলিম জনগণের প্রতি ব্রিটিশ সরকারের বিশ্বাসঘাতকতা নগ্ন রূপ ফুটে ওঠে। এর ফলে ব্রিটিশ সরকারের উপর মুসলমান আস্থা বিনষ্ট হয়। নবাব সলিমুল্লাহ সহ অনেক মুসলিম নেতাই ব্রিটিশ সরকারের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলেন। অপরদিকে পূর্ব-বাংলার মুসলিম জনগণ হিন্দু জনগণকে অবিশ্বাস করতে শুরু করে।