অনেকেই দোদুল্যমান অবস্থায় আছেন, ব্যাংকের প্রিপারেশন নিবেন নাকি বিসিএসের? নাকি দুইটাই একসাথে? বিসিএস ক্যাডার হওয়ার জন্য বাংলাদেশের বেশিরভাগ চাকরি প্রত্যাশী উচ্চ শিক্ষিত মানুষের ড্রিম থাকে বলা চলে । কেননা, বিসিএস ক্যাডার জব একটি অনেক সম্মানের সরকারি ফাস্ট ফ্লাস গেজেটেড জব, জব সিকিউরিটি অনেক ভালে এবং বেতন-ভাতা ভালো, ভবিষ্যৎ অনেক উজ্জ্বল; সর্বোপরি বিসিএস কাডারদের সামজিক গ্রহণযোগ্যতা অনেক বেশি ।
কিন্ত বেশির ভাগ বিসিএস ক্যাডার প্রত্যাশীই জানেন না বিসিএসেব প্রস্তুতি কীভাবে নিবেন।
তবে আমি মনে করি একটু বুদ্ধি খাটালে একসাথে বিসিএস ও ব্যাংক উভয়েরই প্রিপারেশন নেওয়া যায় ।
এখানে আমি আগেই বলে রাখি যে. বিসিএস এর জনা প্রুর ধৈর্য ও পড়াশোনার প্রয়োজন । তারপরও আমি বলবো, আপনি প্রথমত বিসিএসেরই প্রিপারেশন নিন।
কেননা, বিসিএসের প্রিপারেশন নিলে একসাথে অনেক জবের প্রিপারেশন হয়ে যায় তাছাড়া এখন কেউ যদি বিসিএস প্রিলি, রিটেন, ভাইভা পাশ করার পরও কোনো ক্যাডার না পান, তাহলে একটা নন-ক্যাডার জব পাবে বলে আশা করতে পারেন (৩৩তম, ৩৪তম, ৩৫তম ও ৩৭তম বিসিএস থেকে অনেকে নন-ক্যাডারে ভালো জব পেয়েছেন)। পিএসসির ২০১২ সালের নন-ক্যাডার নিয়োগ নীতিমালা এই জন্যই মূলত প্রণয়ন করা হয়েছে । তাছাড়া, বর্তমানে কোটা ব্যবস্থা বাতিল হওয়াতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাবিহীন সাধারণ পরীক্ষার্থীদের বিসিএস ক্যাডার হওয়ার সুযোগ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে । সাথে নন-ক্যাডারের চাকরি পাওয়ারও সুযোগ বৃদ্ধি পেয়েছে ।
এখন প্রশ্ন হলো, আপানি কেন ব্যাংক বা পিএসসির নন-ক্যাডার এর প্রস্তুতি বাদ দিয়ে কেবল বিসিএসের প্রস্ততি নিবেন?
উত্তর: এখানে অনেক লাভ আছে, তাই নিবেন । ষেমন-
১. আমি মূলত বিসিএসের প্রিপারেশন নিয়ে পূবালী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে চাকরি পেয়েছি । আপনিও পারবেন চেষ্টা করেই দেখুন না!
তবে, আমি ব্যাংকের জন্য Extra শুধু ‘S@fur’s Math’, ‘S@fur’s Vocabulary’ পড়েছি এবং সাথে ICT উপর একটু বেশি পড়াশুনা করেছি । তাতেই হয়ে গেছে । এখন আবার আমি সবার দোয়া ও আলাহর রহমতে ৩৫তম বিসিএস ক্যাডার হয়েছি । তার মানে, একই প্রস্তুতি দিয়ে আমার বিসিএস ও ব্যাংক দুই জায়গায়ই জব হয়েছে । যদিও ৩৪তম বিসিএস হল আমার জীবনের প্রথম বিসিএস, সেখানে আমি নন-ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছিলাম; কিন্তু যোগদান করিনি । আর ৩৫তম বিসিএস ছিল আমার জীবনে দ্বিতীয় বিসিএস; যেখানে আমি ক্যাডার হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হই।
২. নন-ক্যাডারের জন্য আপনাকে আলাদাভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে না ।
৩. কোনো প্রকার ঘুষ-তদবির ছাড়াই আপনার অনেক ভালো একটা সরকারি চাকরি পাওয়ার নিশ্চয়তা অনেক বেশি ।
৪. ব্যাংকের জবের জন্য বেশি পেরেশানি হতে হবে না ।
লেখক: গাজী মিজানুর রহমান
৩৫তম বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডার