নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন এই বিষয়টি BCS Preliminary Preparation পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । বিসিএস প্রস্তুতিঃ নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সুশাসন
সু-শাসনঃ
- সর্বপ্রথম অর্থনীতিকে একটি স্বতন্ত্র বিষয়ের মর্যাদা দান করেন- অ্যাডাম স্মিথ
- একজন নাগরিকের কর্তব্যকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? – তিন ভাগে
- বাংলাদেশ সংবিধানে জবরদস্তি শ্রম নিষিদ্ধকরণ করা হয়েছে—৩৪ নং অনুচ্ছেদে
- নারীর অধিকার ও নারীর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণ কাজ করে কোনটি? – হিউম্যান এন্ড জেন্ডার স্টাডিজ
- ইভটিজিং বলতে বুঝায় – সকল নারীদের উত্ত্যক্ত করা
- মানবাধিকারের বৈশিষ্ট্য নিচের কোনটি? – ব্যক্তির একান্ত ব্যক্তিগত
- টেকসই উন্নয়নের জন্য কোনটি কোনটি প্রয়োজন? -প্রতিষ্ঠানিককরণ
- সরকারি চাকরি লাভের অধিকার কোন ধরনের অধিকার? – রাজনৈতিক
- মানুষের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক-স্বাধীনতাকে বাংলাদেশ সংবিধানে স্বীকৃতি দেয়া। হয়েছে-৩৯ নং অনুচ্ছেদে
- বাংলাদেশে কখন অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পায় – শীতকাল ও বর্ষার সময়
- সুশাসনের পূর্বশর্ত – জবাবদিহিতা
- সুশাসন নিডিশ্চত করতে যে দরনের সরকার প্রয়োজন – গণতান্ত্রিক সরকার
- সুশাসন জনপ্রশাসনের একটি – নব্য সংস্কৃতি
- সুশানের লক্ষ্য কোনটি – জনকল্যাণ সাধন‘গভর্নেন্স’ একটি – বহুমাত্রিক ধারণা
- ২০০০ সালে বিশ্বব্যাংক কর্তৃক প্রকাশিত এক সমীক্ষায় বলা হয় সুষ্ঠু গভর্নেন্স বা সুশাসন – ৪টি প্রধান স্তরের উপর নির্ভরশীল।যথা – ক) দায়িত্বশীলতা খ) স্বচ্ছতা গ) আইনি কাঠামো ও ঘ) অংশগ্রহণ
- ১৯৯৪ সালে বিশ্বব্যাংক প্রদত্ত সংজ্ঞায় বলা হয়েছে – “সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি দেশের সামাজিক এবং অর্থনৈতিক সম্পদের ব্যবস্থাপনার জন্য ক্ষমতা প্রয়োগের পদ্ধতিই হলো গভর্নেন্স।”
- ‘ই-গভর্নেন্স’ শব্দটি এসেছে – ‘ই-গভর্মেন্ট’ বা ‘ইলেক্ট্রনিক গভর্মেন্ট’ থেকে।
- ‘ই-গভর্নেন্স’ কে অনেক সময় – ডিজিটাল গভর্নেন্স, অনলাইন গভর্নেন্স নামেও অভিহিত করা হয়
- ‘ই-গভর্নেন্স’ কে বাংলায় – ‘ইলেক্ট্রনিক সরকার বা শাসন’ বলা হয়
- ‘ই-গভর্নেন্স’ বলতে – তথ্যপ্রযুক্তি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ইন্টারনেট ও কম্পিউটারভিত্তিক যোগাযোগকে বুঝায়, যা শাসনের এমন এক পদ্ধতি যেখানে সরকারি সেবা ও তথ্যসমূহ জনগণ সহজে ঘরে বসেই পেতে পারে।
- ই-গভর্নেন্স ও সুশাসনের মধ্যে রয়েছে – নিবিড় সম্পর্ক
- বাংলাদেশে ডিজিটাল পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন – শেখ হাসিনার সরকার।
- ‘ইলেক্ট্রনিক গভর্নেন্স’ এর মূল লক্ষ্য – সুশাসন প্রতিষ্ঠা।
- ‘ই-গভর্নেন্স’ চালু হলে – স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।
- ‘সুশাসন’ শব্দটির ইংরেজি প্রতিশব্দ – Good Governance
- ‘সুশাসন’ শব্দটির প্রকাশ ঘটানো হয়েছে – ‘গভর্নেন্স’ প্রপঞ্চটির সাথে ‘সু’ প্রত্যয় যোগ করে।
- ‘সুশাসন’ একটি – বহুমাত্রিক ধারণা।
- ‘সুশাসন’ ধারণাটি – বিশ্বব্যাংকের উদ্ভাবিত একটি ধারণা।
- বিশ্বব্যাংক উদ্ভাবিত সুশাসন ধারণাটিতে মূলত – উন্নয়নশীল দেশের অনুন্নয়ন চিহ্নিত করা হয়।
- ১৯৮৯ সালে বিশ্বব্যাংকের এক সমীক্ষায় সর্বপ্রথম – ‘সুশাসন’ প্রত্যয়টি ব্যবহার করা হয়।
- বর্তমান সময়ে প্রায় সব রাষ্ট্রই – কল্যাণকর রাষ্ট্র।
- আইনের শাসনের মৌলিক শর্ত – ৩টি। যথা- ক) আইনের দৃষ্টিতে সকলে সমান খ) আইনের আশ্রয় গ্রহণের সুযোগ বিদ্যমান থাকা ও গ) শুনানী গ্রহণ ব্যতীত কারো বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করা
- দূর্নীতি দমনের জন্য প্রয়োজন – স্বাধীন দূর্নীতি দমন কমিশন।সুশাসন বাধাগ্রস্থ হয় – আইনের শাসন না থাকলে।
- সুশাসনের একটি সমস্যা হলো – জবাবদিহিতার অভাব।
- অকারণে হরতাল ডাকা হয় – বাংলাদেশে।
- প্রায় এক যুগের অধিক সময় ধরে দূর্নীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েই চলেছে – বাংলাদেশ।
মূল্যবোধঃ
- মূল্যবোধ বিভিন্ন সমাজের – বিভিন্ন রকম
- মূল্যবোধ হল – পরিবর্তনশীল ও নৈর্ব্যক্তিক
- মূল্যবোধের ভিত্তি – ১০টি
- মূল্যবোধ সাধারণত – ৯ প্রকারআর্থিক লেনদেন, ব্যবসা-বাণিজ্য হল – অর্থনৈতিক মূল্যবোধ
- সামাজিক মূল্যবোধ হল – সুকুমার বৃত্তির সমষ্টি
- শিশু প্রথম নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা পায় – পরিবারে
- অপরের ধর্মমতকে সহ্য করা – ধর্মীয় মূল্যবোধ
- সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয় না – আইনের শাসনের অভাবে
- জাতীয় উন্নতির চাবিকাঠি – গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
- গণতন্ত্রের শ্রেষ্ঠতম মূল্যবোধ – সহনশীলতা
- আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে – গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ
- সৎ গুণই জ্ঞান/Knowledge is virtue – বলেছেন এরিস্টটল
- সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার জন্য প্রয়োজন কোনটি? – ধর্মীয় সহিষ্ণুতা
- ভিক্ষুককে ভিক্ষা দেয়া কোন মূল্যবোধের অন্তর্ভুক্ত? – নৈতিক মূল্যবোধ
- সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে অগ্রগতির প্রধান ধাপ – শৃঙ্খলা-বোধ
- অধিকার ও কর্তব্য সচেতন নাগরিকই – সুনাগরিক‘নীতিভ্রষ্ট বা নীতিহীন শাসক হল অন্যতম পাপী’ বলেছেন – করমচাঁদ গান্ধী
- মূল্যবোধের শাব্দিক অর্থ – তুলনামূলক আর্যমূল্য, বা দান বা অন্তর্নিহিত গুণাবলি
- “মূল্যবোধ হল আবেগিক ও আদর্শগত ঐক্যের বোধ” – ফ্রাঙ্কেল
নৈতিকতাঃ
- নৈতিকতা ভিন্ন হতে পারে – দেশ-কাল-পাত্র ভেদে
- সুনাগরিকের বড় গুণ – আত্মসংযম
- গ্রহণ ও শ্রদ্ধার শিক্ষাকেই বলে – আত্মসংযম
- মানবীয় গুণ হল – সহমর্মিতা
- ভাল-মন্দ বিচার করার ক্ষমতাকে বলে – নৈতিকতা
- আইন ও নৈতিকতার মধ্যে পার্থক্য করা হত না – প্রাচীনকালে
- আইন ও নৈতিকতার পার্থক্য পরিলক্ষিত হয় – পৃথক সত্ত্বা হিসেবে রাষ্ট্রের প্রকাশের পর
- মানুষের মনোজগতকে নিয়ন্ত্রণ করে – নৈতিকতা
- বিবেক, চিন্তা, বুদ্ধি ও ন্যায়পরায়ণতা হচ্ছে – নৈতিকতার উৎস।নৈতিকতা পরিচালিত হয় – সামাজিক বিবেকের দ্বারা