ভূগোল, পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনাঃ বায়ুমণ্ডল ও বায়ু দূষণ এই টপিকটি বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শুষ্ক বায়ুমণ্ডল গঠন পরিমাণ অনুসারে: নাইট্রোজেন –৭৮.০৮%, অক্সিজেন –২০.৯৪%, আরগন—০.৯৪%, কার্বন-ডাই-অক্সাইড—০.০৩%, নিয়ন—০.০০১৮%, হিলিয়াম –০.০০০৫%, ওজন–০.০০০৫%, মিথেন—০.০০০০২%, হাইড্রোজেন—০.০০০০৫%, জেনন—০.০০০০৯%
বায়ুমণ্ডলের উষ্ণতার হ্রাস-বৃদ্ধির দিকে লক্ষ রেখ বায়ুমণ্ডলকে – পাঁচ ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যথা-ক. ট্রপোস্ফিয়ার খ. স্ট্রাটোস্ফিয়ার গ. থার্মোস্ফিয়ার ঘ. এক্সোস্ফিয়ার ঙ. ম্যাগনেটোস্ফিয়ার।
ট্রপোস্ফিয়ার ভূপৃষ্ঠের সংলগ্নে অবস্থিত। ভূপৃষ্ঠ থেকে ১৮ কি. মি. পর্য্ন্ত ছড়িয়ে আছে এটি।
ট্রপোস্ফিয়ার মানুষের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় স্থর।
ট্রপোস্ফিয়ারের ঊর্ধ্ব সীমায় অবস্থিত সরুস্থরকে ট্রপোপজ বলে। এখান থেকে বিমান চলাচল করে।
স্ট্রাটোস্ফিয়ার বায়ুমণ্ডলের দ্বিতীয় স্থর। এটি ভূপৃষ্ঠ হতে উপরের দিকে ৮০ কি. মি. পর্য্ন্ত ছড়িয়ে আছে।
থার্মোস্ফিয়ার বায়ুমণ্ডলের তৃতীয় স্থর। এটি ভূপৃষ্ঠ হতে উপরের দিকে ৬৪০ কি. মি. পর্য্ন্ত ছড়িয়ে আছে।
এক্সোস্ফিয়ার বায়ুমণ্ডলের চতুর্থ স্থর। এটি ভূপৃষ্ঠ হতে ৬৪০ কি. মি. এর ঊর্ধ্বে অর্থাৎ থার্মোস্ফিয়ারের উপরে।
ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বায়ুমণ্ডলের পঞ্চম স্থর। এই স্থরটি হলো চৌম্বকীয় স্থর। যা সর্বশেষে অবস্থিত।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্গত সূক্ষ ধূলিকণা – ক্যান্সার রোগ সৃষ্ঠি করে।
কার্বন মনোক্সাইড উদ্ভিদের নাইট্রোজেন সংবন্ধন প্রক্রিয়ায় বিঘ্ন ঘটায়।
সালফার-ডাই-অক্সাইড বায়েুতে বেশি হলে গাছের পাতা শুকিয়ে যায়।
নাইট্রোজেনের অক্সাইড ও ক্লোরোইড ফসল উৎপাদন হ্রাস করে।
যানবাহন থেকে নির্গত গ্যাসীয় পদার্থের মধ্যে কার্বন-ডাই-অক্সাইড প্রধান।
সমুদ্র সমতল থেকে বায়ুমণ্ডলের ঊর্ধসীমা – ১০, ০০০ কি. মি.।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে — ওজন গ্যাস।
ওজোনস্থরকে ধ্বংস করে – কার্বন-ডাই-অক্সাইড।
গ্লোবল ওয়ার্মিং এ মুখ্য ভূমিকা পালন করে — CO2
সবচেয়ে কম দূষণ সৃষ্টিকারী জ্বালানি হলো—প্রাকৃতিক গ্যাস।
বায়ুদূষণ প্রতিরোধে সরকার ‘পরিবেশ সংরক্ষণ আইন’ তৈরি করেছেন — ১৯৯৫ সালে।
ওজোনস্থর বিনষ্টকারী পদার্থগুলোর নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বাক্ষরিত প্রোটোকল—ধরিত্রী সম্মেলন-১৯৯২।
Hazard বা আপদ বলতে কোনো এক আকস্মিক ও চরম প্রাকৃতিক সৃষ্ট ঘটনাকে বোঝায়।
বায়ুদূষণ অন্যতম প্রাকৃতিক Hazard বা আপদ যার ফলে বিশ্বময় উষ্ণায়নের সৃষ্টি হচ্ছে।
বায়ু দূষনের ফলে ক্যান্সার, নিউমোনিয়া, জন্ডিস সহ নানান রোগ হচ্ছে।
ডিজেল পোড়ালে তৈরি হয়—সালফার ডাই অক্সাইড।
পেট্রোল, অকটেন ও সিএনজি পোড়ালে তৈরি হয়—কার্বন ডাই অক্সাইড।