বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার জন্য কি কি পড়বেন? কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন? চলমান বিসিএস থেকে উল্লেখিত সিলেবাসে কি কি বিষয় আছে, ডিটেইলস সিলেবাস বিশ্লেষণ, প্রয়োজনীয় বোর্ড বইয়ের লিংক, টপিক ভিত্তিক কয়েকটি অনলাইন লেকচার ওয়েব ও পিডিএফ লিংক, দেওয়া আছে এই নোটে। লেখাটি সম্পূর্ণ পড়বেন। শুধু বিষয়ভিত্তিক বই নয় সাথে দেওয়া আছে, BCS Preparation এর জন্য কোন বিষয়ে কি কি পড়বেন সেই সাথে রয়েছে BCS Preliminary Book List ।
প্রতি বিষয়ের বইয়ের তালিকার সাথে দেওয়া আছে পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন:
বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বা যোগ্যতা অর্জনের জন্য প্রাক-বাছাই পরীক্ষা বা বিসিএস প্রিলিমিনারীতে অংশগ্রহণ করতে হয়। এইটা বিসিএস পরীক্ষার সবচেয়ে কঠিনতম ধাপ [আমার মনে হয়]। ২০০ টি অবজেকটিভ দাগাতে হবে ১২০ মিনিটে বা ২ ঘন্টায়। বিসিএস প্রিলিতে ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় কোন বিষয়ে কত নম্বরের প্রশ্ন করা হবে তা লক্ষ্য করুন ।
সবার উচিত হবে BCS Preparation জন্য বিগত বছরের প্রশ্নগুলো সমাধান করা। আসুন আর দেরি না করে আমরা চলে যাই সরাসরি সিলেবাস বিশ্লেষণে:
বাংলা ভাষা ও সাহিত্য – ৩৫ নম্বর:
এই সেগমেন্টে ৩৫টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। পূর্বের বিসিএস গুলিতে ২০ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হত। বিসিএস এ ভালো ফলাফল করার জন্য বাংলায় ভালো করার গুরুত্ব অপরিসীম। বাংলার সিলেবাসে দুটি অংশ।
সাহিত্য – ২০ নম্বর। ভাষা – ১৫ নম্বর,
১) বাংলা ভাষার ইতিহাস, বাঙ্গালা ও বাঙ্গালী, বাংলা ভাষা ও লিপি
২) বাংলা ভাষার যুগ বিভাগ
i) প্রাচীন যুগ ও বাংলা সাহিত্যঃ চর্যাপদ
ii) মধ্যযুগ ও বাংলা সাহিত্যঃ শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য, মঙ্গলকাব্য, বৈষ্ণব পদাবলী, মুসলিম সাহিত্য, অনুবাদ সাহিত্য, গীতিকা
iii) আধুনিক যুগ ও বাংলা সাহিত্যঃ গদ্যের কথা, ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ এবং আধুনিক যুগের কবি লেখকদের জীবনী।
৩) আধুনিক কবি-লেখকদের জীবনী ও অন্যান্য বিষয়ে পড়তে হবে।
নিচে কবি লেখকদের তালিকা দেওয়া হল:
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর, বঙ্কিমচন্দ্র চট্রপাধ্যায়, মাইকেল মধূসুদন দত্ত, মীর মশাররফ হোসেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, দীনবন্ধু মিত্র, কাজী নজরুল ইসলাম, জসীম উদ্দিন, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন, ফররুখ আহমদ, কায়কোবাদ, শরতচন্দ্র চট্রোপাধ্যায়, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, আবু ইসহাক, আব্দুল্লাহ আল মামুন, আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ, আল মাহমুদ, আল ফজল, আলাউদ্দিন আল আজাদ, আবুল মনসুর আহমদ, আবুল হাসান, আহসান হাবীব, জহির রায়হান, জীবনান্দ দাশ, প্রমথ চৌধুরী, প্যারীচাঁদ মিত্র, মানিক বন্দোপাধ্যায়, মুনীর চৌধুরী, শওকত ওসমান, সুফিয়া কামাল, সেলিনা হোসেন, সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ, সৈয়দ মুজতবা আলি, সেলিম আলদিন, শামসুর রহমান, হাসান আজিজুল হক, হাসান হাফিজুর রহমান, নির্মলেন্দু গুণ, দিলারা হাসেম, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়, হুমায়ুন আজাদ, হুমায়ুন কবির, হুমায়ুন আহমদ, জাহানারা ইমাম, রাবেয়া খাতুন, কবীর চৌধুরী, রাজিয়া খান, গোলাম মোস্তফা, সিকান্দার আবু জাফর, কাজী মোতাহার হোসেন, সুকান্ত ভট্রাচার্য, তারাশঙ্কর বন্দোপাধ্যায়।
এই সকল কবি-লেখকদের যে বিষয়টি পড়তে হবে তা হল:
১। জন্ম-মৃত্যু সাল, জন্মস্থান, উল্লেখযোগ্য রচনা, সম্পাদিত পত্রিকা, পত্রিকার নাম, ছদ্মনাম, উপাধি, প্রাপ্ত পুরষ্কার।
২। এছাড়া আরো যা পড়া উচিত, উল্লেখযোগ্য মুক্তিযুদ্বভিত্তিক রচনা, উপন্যাস, কাব্য, ছড়া।
৩। বাংলা সাহিত্যে উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ গ্রন্থ, ভ্রমণ কাহিনী, প্রহসন, নাটক নাম এবং এগুলোর রচনাকারীদের নাম।
***বাংলা সাহিত্যের প্রথম যা তাও পড়তে হবে। যেমন প্রথম নাটক, প্রথম উপন্যাস, প্রথম সার্থক উপন্যাস। এইরূপ:
প্রথম গীতিকাব্য, প্রথম বাংলা অনুবাদ, প্রথম সামাজিক নাটক, বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম সাময়িকী, প্রথম ট্রাজেডি নাটক, প্রথম একুশের কবিতা, প্রথম নাট্যকার, প্রথম মহিলা কবি, প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক, প্রথম মুক্তিযুদ্বভিত্তিক রচনা, প্রথম রামায়ণ অনুবাদ কারী ইত্যাদি।
২০ টি প্রশ্ন যেমন হয় তার একটি নমুনা হল:
*প্রাচীন সাহিত্য থেকে ২ টি
*মধ্যযুগ থেকে ৩ টি
*আধুনিক যুগের ১৫ টি [কবি লেখকদের জন্ম-মৃত্যু তারিখ/সাল, স্থান, উল্লেখযোগ্য রচনা, ছদ্মনাম/উপাধি, রচনাবলী, প্রাপ্ত পুরষ্কার, সম্পাদিত পত্র-পত্রিকার নাম, পত্রিকার ধরন, উল্লেখ্যযোগ্য গ্রন্থ, পুরষ্কারপ্রাপ্ত গ্রন্থ ইত্যাদি]
*আধুনিক যুগের কবি লেখকদের মধ্যে অবশ্যই রবীন্দ্রনাথ এবং কাজী নজরুল ইসলাম থেকে ১ টি প্রশ্ন আসেই।
আর অন্যন্য লেখকদের থেকে আসে। তবে একটা জিনিস লক্ষণীয় আমরা কিন্তু সবাই এসএসসি সিলেবাসে যেই গল্প-কবিতাগুলো পড়েছি সেইগুলোই সব সময় দেখার চেস্টা করি। কিন্তু আমি উপরে যেই কবি-সাহিত্যিকদের তালিকা দিলাম তাদের রচনাবলী ও জীবনী পড়তে হবে। যেমন দীনবন্ধুমিত্রের রচনা নীল দর্পন আমাদের সিলেবাসে ছিলনা তাই অনেকেই দীনবন্ধু মিত্রের জীবনী পড়বে না … কিন্তু উনার সম্পর্কেও বিগত বছরগুলোতে প্রশ্ন এসেছে একাধিকবার।
ভাষা: ১৫ নম্বর:
বিষয়সমূহ: প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, পরিভাষা, সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ, ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি, সমাস।
ক) প্রয়োগ-অপপ্রয়োগ, বানান ও বাক্যশুদ্ধি, পরিভাষা, সমার্থক ও বিপরীত শব্দ:
‘ভুল-শুদ্ধি’ এবং ‘পরিভাষা’ পূর্বের লিখিত সিলেবাসে ছিল। তাই লিখিত এর যেকোন গাইড দেখতে পারেন। অবশ্য লিখিত পরীক্ষাতে যে সব বাক্যশুদ্ধি অপরিভাষা এসেছিল, সেগুলো আগে দেখুন। সিলেবাসে ‘বানান ও বাক্যশুদ্ধি’, ‘সমার্থক ও বিপরীত শব্দ’এর জন্য এইচ, এস, সি লেভেলের ব্যাকরণ বই টা দেখতে পারেন। সেই সাথে সিলেবাসে উল্লেখ না থাকলেও নবম দশম শ্রেণীর বোর্ডের ব্যাকরণ বইয়ে কয়েকটা অধ্যায় দেখতে পারেন।
ণ-ত্ব বিধান, ষ-ত্ব বিধান, বাক্য (বাক্যের গুণ মানে আকাংক্ষা, আসত্তি, যোগ্যতা), বচনের অধ্যায়ের কিছু নিয়ম আছে।
খ) ধ্বনি, বর্ণ, শব্দ, পদ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি, সমাস:
এই টপিকগুলো নবম-দশম শ্রেণীর বোর্ডের ব্যাকরণ বই থেকে পড়া উচিত। কিন্তু সিলেবাস কি এইটুকুতেই যথেষ্ট? একটু ভালো করে লক্ষ্য করুন। সিলেবাসে ‘শব্দ’ উল্লেখ আছে। এর অর্থ কি? শুধু শব্দ অধ্যায় নাকি শব্দতত্ত্ব বুঝিয়েছে! আবার প্রত্যয়, সমাস এগুলো উল্লেখ আছে। এইগুলো দিয়ে কিন্তু শব্দ তৈরি হয়। কিন্তু উপসর্গ, বচন, লিঙ্গ এগুলো উল্লেখ নাই। এইগুলো আবার শব্দতত্ত্বে অধীনে। পূর্বের প্রিলিমিনারী পরীক্ষার প্রশ্ন বিশ্লেষণ করলে অনুমান করা যায় যে, উপসর্গ, বচন এইগুলো থেকে অনেক প্রশ্নই এসেছে। তাই এখানে কি পড়বেন একটু চিন্তাভাবনার বিষয় আছে! তবে সহজ সিদ্ধান্ত হচ্ছে, সিলেবাসে সরাসরি যে সব অধ্যায় উল্লেখ আছে সেগুলো আগের পড়ুন এবং সেই বিষয়ক অন্য অধ্যায়গুলো পড়ে প্রশ্ন কাভার করুন।
ধ্বনি, বর্ণ, উচ্চারণ স্থান, ধ্বনি পরিবর্তন, শব্দ, শব্দের শ্রেণীবিভাগ (উৎপত্তি, গঠন ও অর্থ অনুসারে), পদ, বাক্য, প্রত্যয়, সন্ধি, সমাস এগুলোর জন্য নবম দশম শ্রেণীর বোর্ড ব্যাকরণ বইটাতে আলাদা আলাদা অধ্যায় আছে। আর এর সাথে সম্পর্কিত অধ্যায়গুলো বাদ দেয়া যাচ্ছে না।
এর মানে কি? এর মানে হল – এই অধ্যায়গুলোর গুরুত্বও কিন্তু বেড়ে গেল। আর এতদিনে নিশ্চয়ই পূর্বে আগত প্রিলিমিনারী প্রশ্নগুলো বিশ্লেষণ করেছেন। তাহলে বুঝে নিন কোন কোন অধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ।
** ভাষা অংশে কি কি পড়তে হবে তা সুজন দেবনাথ ভাইয়ের পোস্ট থেকে কপিকৃত
ডিটেইল বিশ্লেষণ জন্য নিচের লিংকে যান
লিংকঃ http://goo.gl/nfw7hr
ইংরেজী ভাষা ও সাহিত্য – ৩৫ নম্বর:
বিসিএস প্রিলিমিনারিতে ভালো ফলাফল করার জন্য ইংরেজী অংশটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ৩৪ তম বিসিএস পর্যন্ত ১০০টি প্রশ্নের মধ্যে ২০ টি প্রশ্ন ইংরেজী অংশে আসত। যেহেতু ৩৫তম বিসিএস থেকে ২০০ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে এবং এর মধ্যে ইংরেজী প্রশ্ন ৩৫ টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। ইংরেজীতে যারা মোটামুটি ভাল তাদের খুব একটা সমস্যা হবার কথা হয় না। কিন্তু যারা ইংরেজীতে দূর্বল বা ইংরেজীতে একটু কম আত্নবিশ্বাসী তাদের জন্য হয়তো এই টিপসগুলো কাজে লাগবে বলে আশারাখি।
আগামী বিসিএস এ কিভাবে প্রশ্ন আসতে পারে তার একটা প্যাটার্ণ খেয়াল করি
১) Spelling/Synonyms / Antonyms – ৪ টি বা ৬ টি প্রশ্ন
২) Analogy – ৩টি বা ৪ টি প্রশ্ন
৩) Phrasal verbs/ Idioms / Phrase / Group verbs – ৫ টি বা ৭ টি প্রশ্ন
৪) Appropriate preposition / Adjective / Adverb – ৪ টি বা ৬ টি প্রশ্ন
৫) Gerund / Clause /Adjective / Adverbs / syntax – ৫ টি বা ৭ টি প্রশ্ন
৬) Narration / Voice / Sequence of Tense / Correction – ৮ টি বা ১০ টি প্রশ্ন
৭) BCS question previous year / Literature – ৪ টি বা ৬ টি প্রশ্ন
এখন আসুন আমরা জেনে নেই কোথা থেকে কিভাবে এই টপিক গুলো ভালো ভাবে আত্নস্থ করবেন।
এই টপিকগুলোর জন্য যে বইগুলো ফলো করতে হবে তা হল:
1) Common Mistakes in English – T. J. Fitikids এর বই
2) Oxford Advanced English Grammer
3) প্রফেসরস সিরিজের BCS Preliminary English বই
4) S@ifur’s এর BCS English [মূলত Synonym & Antonym এবং Analogy এর জন্য]
5) English Grammer [যেকোনও ভালো মানের নবম-দশম শ্রেণী]
6) 10th – 34th BCS question [BCS question bank]
বিসিএস প্রিলিতে এসেছে এমন বিগত বছরের প্রশ্নগুলো চোখ বুলিয়ে নিন তাতে কখনও কখনও ১/২ টি প্রশ্ন কমন পড়বে। আর আপনি / আপনারা একটা আইডিয়াও পাবেন প্রশ্ন কেমন আসে।
এছাড়া Spelling, Synonyms & Antonyms, Analogy, Literature [life span of some famous writer and poet; ], Famous quotation from writer and poet, publish into single / easy words.
সিলেবাস বিশ্লেষণ দেখুন নিচের লিংকে
লিংকঃ http://goo.gl/fVZETj
গাণিতিক যুক্তি – ১৫ নম্বর:
৩৪ তম বিসিএস পর্যন্ত প্রিলিমিনারী পরীক্ষায় ১০০ টি অবজেকটিভ প্রশ্নে গণিত অংশে ২০ টি প্রশ্ন হত। যেহেতু ৩৫তম বিসিএস থেকে ১০০ নম্বর বেড়ে ২০০ নম্বর হচ্ছে কিন্তু আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে গণিতের নম্বর উল্টো ৫ নম্বর কমে ১৫ করা হইছে অর্থাৎ ১৫ টি প্রশ্ন থাকবে।
বেশিরভাগ শিক্ষার্থী যারা গণিতে ভালো তাদের টার্গেট থাকে ১৮-২০ টিই যেন সঠিক হয় এখন যেহেতু ১৫ টি তাই আমাদের সকলেরই উচিত ১৫ টি সঠিক উত্তর করতে পারা।
গণিত অংশে কি কি পড়তে/দেখতে হবে তা নিয়ে থাকবে আজকের আলোচ্য বিষয়:
গণিত অংশকে আমরা মোটামুটি ৩ টি অংশে ভাগ করতে পারি …
গণিতে মোট ১৫ টি প্রশ্ন আসবে:
১) পাটিগণিত ৩ টি প্রশ্ন
২) বীজগণিত ৯ টি প্রশ্ন
৩) জ্যামিতি ৩ টি প্রশ্ন
১) পাটিগণিত অংশে যা যা দেখতে হবে:
নতুন সিলাবাস অনুসারে পাটিগণিতে ৩ টি প্রশ্ন আসবে।
পাটিগণিতের সিলেবাস হচ্ছেঃ বাস্তব সংখ্যা, লসাগু ও গসাগু, শতকরা, সরল ও যৌগিক মুনাফা, লাভ-ক্ষতি, অনুপাত-সমানুপাত।
কিন্তু পূর্বের পরীক্ষাগুলোতে আরো যে সেগমেন্ট থেকে প্রশ্ন হত তা হল অংক, সংখ্যা, মৌলিক সংখ্যা, মৌলিক দ্বিজোট, মৌলিক ত্রিজোট, পারফেক্ট নাম্বার, সহমৌলিক নাম্বার, বর্গের নিয়ম, গুনের নিয়ম,গড়, চৌবাচ্চা, কাজ, বয়স ও সময় সক্রান্ত অংক, স্রোত সংক্রান্ত অংক।
একটু খেয়াল করবেন বাস্তব সংখ্যার মধ্যেই অন্তর্গত “অংক, সংখ্যা, মৌলিক সংখ্যা, মৌলিক দ্বিজোট, মৌলিক ত্রিজোট, পারফেক্ট নাম্বার, সহমৌলিক নাম্বার, বর্গের নিয়ম, গুনের নিয়ম” এই অংশটি
কিন্তু যে অংশগুলো বাদ হয়ে গেছে তা হল গড়, চৌবাচ্চা, কাজ, বয়স ও সময় সক্রান্ত অংক, স্রোত সংক্রান্ত অংক।
যেহেতু সিলেবাস থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে তাই আপাতাত দেখার দরকার নেই তবে সিলেবাস কাভার করে ফেললে এই অংশটিও দেখে রাখতে পারেন।
[পাটিগণিত অংশের জন্য ৮ম শ্রেণীর বইটা ভালো ভাবে ফলো করা উচিত … এই অংশে বর্গ, শতকরা, সুদকষা, লাভ-ক্ষতি, গড়, চৌবাচ্চা, কাজ, বয়স ও সময় সক্রান্ত অংক, স্রোত সংক্রান্ত অংকগুলো পাবেন … ভালোভাবে অনুশীলন করুন … আর সাথে ওরাকলের বিসিএস গণিত গাইডটা খুবই কাজের]
২) বীজগণিত অংশে যা যা দেখতে হবে:
নতুন সিলেবাস অনুসারে বীজগণিতে ৯ টি প্রশ্ন থাকবে তার নমুনা সিলেবাস নিম্নরূপ:
বীজগাণিতিক সূত্রাবলী, বহুপদী উৎপাদক, সরল ও দ্বিপদী সমীকরণ, সরল ও দ্বিপদী অসমতা, সরল সহসমীকরণ, সূচক ও লগারিদম, সমান্তর ও গুণোত্তর অনুক্রম ও ধারা, সেট, বিন্যাস ও সমাবেশ, পরিসংখ্যান ও সম্ভাব্যতা।
নতুন সংযোজিত অংশ হচ্ছে বহুপদী উৎপাদক, গুণোত্তর ধারা, বিন্যাস ও সমাবেশ, পরিসংখ্যান ও সম্ভাব্যতা।
পূর্বের অংশগুলোর বেসিক তৈরী করার জন্য দেখা উচিত ৯ম শ্রেণীর বীজগণিত বইটা …
*বিশেষ করে …
১ম অধ্যায়: সেট
২য় অধ্যায়: মূলদ, অমূলদ, বাস্তব রাশি, অবাস্তব রাশি, সংখ্যারেখা
৩য় অধ্যায়: উৎপাদক, মান নির্ণয়, লসাগু, গসাগু,
৪র্থ অধ্যায়: সূচক / লগারিদম অংক
৫ম অধ্যায়: অনুপাত ও সমানুপাত
৬ষ্ঠ অধ্যায়: সাধারণ সমীকরন সমাধান, অসমতা সমাধান
৭ম অধ্যায়: ধ্রুব রাশি সমাধান
৮ম অধ্যায়: দ্বিঘাত সমীকরন, দ্বি-চলরাশি সমীকরণ সমাধান, কথার অংক সমাধান
৯ম অধ্যায়: সমান্তর ধারা, গুণোত্তর ধারা
আর নতুন সংযোজিত অংশের জন্য
*৯ম শ্রেণী উচ্চতর গণিত থেক বহুপদী উৎপাদক, গুণোত্তর ধারা এবং পরিসংখ্যান
*একাদশ শ্রেণীর গণিত বই থেকে বিন্যাস ও সমাবেশ এবং বিচ্ছিন্ন গণিত থেকে সম্ভাব্যতা পড়তে হবে।
৩) জ্যামিতি অংশে যা দেখা প্রয়োজন:
জ্যামিতি অংশে ৩ টি প্রশ্ন থাকবে।
সিলেবাস নিম্নরূপ:
রেখা, কোণ, ত্রিভূজ ও চতুর্ভূজ সংক্রান্ত উপপাদ্য, পিথাগোরাসের উপপাদ্য, বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য, পরিমিতি-সরল ক্ষেত্র ও ঘনবস্তু।
একটু খেয়াল করুন,
কোণ এর অধীনে নিচের টপিক গুলো আছে।
সূক্ষ্ণ কোণ, স্থূল কোণ, সম্পুরক কোণ, পূরক কোণ, সমকোণ, সন্নিহিত কোণ, বিপ্রতীপ কোণ, একান্তর কোণ, অনুরূপ কোণ, অবনতি কোণ, শীর্ষকোণ, রেডিয়ান কোণ।
ত্রিভূজের অধীনে সমবাহু ত্রিভুজ, সমদ্বিবাহু ত্রিভুজ, বিষম বাহু ত্রিভূজ, সুষম কেন্দ্র, ত্রিভুজের বৈশিষ্ট্য ও ক্ষেত্রফল এবং চতুর্ভুজের অধীনে চতুর্ভূজ, আয়তক্ষেত্র, রম্বস, সামান্তরিক, ট্রাপিজিয়াম এবং দের ক্ষেত্রফল এইগুলোর সূত্র সমূহ।
[এর জন্য যে ৫ম শ্রেণীর বোর্ডের গণিত বই … ৯ম জ্যামিতি শ্রেণীর প্রথম দিকের উপপাদ্যগুলো যা বেসিক বা সংজ্ঞা]
৯ম দশম শ্রেণীর পিথাগোরাসের উপপাদ্য, বৃত্ত সংক্রান্ত উপপাদ্য গুলো দেখতে হবে।
সিলেবাস নিয়ে ডিটেইল লিংক নিচে:
লিংক: http://goo.gl/nEgwNV
মানসিক দক্ষতা – ১৫ নম্বর:
মানসিক দক্ষতা বিসিএস প্রিলিতে পূর্বে উল্লেখিত আকারে ছিল না। বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ৫০ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হত। যেহেতু ডিটেইল সিলেবাস আছে তাই সেই অনুসারে পড়াশোনা করলে ১৫ টি প্রশ্ন উত্তর করে নম্বর তোলা সম্ভব।
মানসিক দক্ষতার সিলেবাসে যা যা উল্লেখ আছে:
1. ভাষাগত যৌক্তিক বিচার (Verbal Reasoning)
2. সমস্যা সমাধান (Problem Solving)
3. বানান ও ভাষা (Spelling and Language)
4. যান্ত্রিক দক্ষতা (Mechanical Reasoning)
5. স্থানাংক সম্পর্ক (Space Relation)
6. সংখ্যাগত ক্ষমতা (Numerical Ability)
Verbal reasoning মানে হল একটু ভাষাগত প্যাচ দিয়ে একটা প্রশ্ন দেয়া। অনেক ধরনের verbal reasoning হয়। নিচের লিংকটা দেখুন। এই লিংকে টপ -৫০০ Verbal Reasoning উপর শ্রেণীবিভাগ আকারে প্রশ্ন সহ উত্তর আছে।
http://tamilcube.com/career/aptitude-test/verbal-reasoning/
Problem solving এ যে কোন বুদ্ধিবৃত্তিক প্রশ্ন দিতে পারে।
Spelling and Language মানে বানান কারেকশন, গ্রামাটিক্যাল কারেকশন।
Mechanical Reasoning বলতে বোঝায় ছবি দিয়ে বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা দেওয়া থাকবে। এইগুলো খুব সহজও নয় আবার খুব কঠিন ও নয়। বিষয়টি আরো ডিটেইল বোঝার জন্য নিচের লিংকটি দেখে নিতে পারেন।
http://www.psychometric-success.com/faq/faq-mechanical-reasoning-tests.htm
Space Relation: এটাঅর্থাৎ জায়াগ / অবস্থান / স্থানাংক বিশিষ্ট প্রশ্ন। এই সেগমেন্ট থেকে আগেরো প্রশ্ন এসেছে। পূর্বের প্রশ্নগুলো সমাধান করলেই এই সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যাবে।
ছবি দিয়ে অথবা কোন সংখ্যা বা কোন দিয়ে বলে দিবে এর অক্ষরটি অবস্থান ঐ এ কত তম কিংবা … ওমুক সংখ্যার ডান / বামের সংখ্যাটি কি?
যেমনঃ ELEPHANT শব্দটির P কত তম অবস্থান? উঃ ৪র্থ
আরো ভালো ভাবে বোঝার জন্য নিচের লিংকটি দেখতে পারেন।
http://worksheets.tutorvista.com/spatial-relation-test-questions.html
Numerical Ability অর্থ গণিত সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন। এতে বিভিন্ন সিরিজ, ডায়াগ্রাম, জ্যামিতিক চিত্র, পাটিগাণিতিক প্রশ্ন ইত্যাদি থাকে। নিচের লিংকটি দেখতে পারেন। Numerical Ability সম্পর্কিত টপ-৩০০ প্রশ্ন
http://tamilcube.com/career/aptitude-test/numerical-reasoning/
ডিটেইলস সিলেবাস বিশ্লেষণ নিচের লিংক।
লিংক: http://goo.gl/WLpX1r
বাংলাদেশ বিষয়াবলী – ৩০ নম্বর:
বিসিএস প্রিলিতে সাধারণ জ্ঞান অংশে দুইটি অংশের একটি বাংলাদেশ বিষয়াবলী। এতে ৩০ টি প্রশ্ন থাকে। বাংলাদেশ সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এ অংশে থাকে। বাংলাদেশ বিষয়াবলী ভালো করতে হলে সমসাময়িক খবরাখবর তথ্য সম্পর্কে অবগত থাকতে হবে।
(১) বাংলাদেশের জাতীয় বিষয়াবলী: – ৬ নম্বর
এই অংশে আছে “প্রাচীন কাল হতে সমসাময়িক কালের ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি” অর্থাৎ বাংলাদেশের সৃষ্টির পূর্বের প্রাচীন শাসনামল অর্থাৎ মোঘল আমল, ইংরেজ শাসন আমল ইত্যাদি।
“বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৮-৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থান, ১৯৭০ এর নির্বাচন, ১৯৭১ সালের অসহযোগ আন্দোলন, ৭ ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, স্বাধীনতা ঘোষণা, মুজিবনগর সরকারের গঠন ও কার্যাবলী, মুক্তিযুদ্ধের রণকৌশল, মুক্তিযুদ্ধে বৃহৎ শক্তিবর্গের ভূমিকা, পাক বাহিনীর আত্নসমর্পণ এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয়” এই সেগমেন্টটি অনুসরণ করলে বোঝা যায় যে এর অন্তর্গত বাংলাদেশের জন্মের পূর্বে পাকিস্তান শাসনামল এবং বাংলাদেশের গৌরব উজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধ এত ইতিহাস।
অর্থাৎ ইতিহাসের এই সেগমেন্টে পড়া সেই আগের মতই রয়ে গেছে তবে যা কমেছে তা হল নম্বর!
এই বিষয়ক দুটি লেকচারের লিংক নিম্নে দেওয়া হলঃ
(২) বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ: – ৩ নম্বর
“শস্য উৎপাদন এবং বহুমুখীকরণ; খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা” শিরোনাম পড়েই বুঝা যাচ্ছে বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদ সম্পর্কে ৩ টি প্রশ্ন থাকবে। মূলত জানতে হবে বাংলাদেশের কৃষিজ সম্পদে কি কি শস্য / খাদ্য শস্য উৎপাদন হয়। কোন জেলায় কোন শস্য বেশি জন্মে বা এর গবেষণা কেন্দ্র কোথায় এইগুলোই মূলত পড়তে হবে।
(৩) বাংলাদেশ জনসংখ্যা, আদমশুমারী, জাতি গোষ্ঠী ও উপজাতি সংক্রান্ত বিষয়: – ৩ নম্বর
বাংলাদেশের জনসংখ্যার মধ্যে বাংলাদেশে সংগঠিত হওয়া আদমশুমারিতে জনসংখ্যা, নারী পুরুষের সংখ্যা, জন্ম ও মৃত্যুর হার, শিশু মৃত্যুর হার, মাতৃ মৃত্যুর হার ইত্যাদি।
ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীরা কোন জেলায় কারা বাস করে, জাতিগোষ্ঠির বিশেষ বৈশিষ্ট্য, উৎসব, পিতৃপ্রধান / মাতৃপ্রধান জাতি কারা ইত্যাদি
(৪) বাংলাদেশের অর্থনীতি: – ৩ নম্বর
এই অংশের সিলেবাসটা একটু দেখে নিন।
“উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রেক্ষিত ও পঞ্চবার্ষিকী, জাতীয় রাজস্ব, আয়-ব্যয়, রাজস্ব নীতি ও জাতীয় উন্নয়ন কর্মসূচী, দারিদ্র বিমোচন”
এই অংশে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে গেলে অর্থনৈতিক সমীক্ষাটি দেখুন।
অর্থনৈতিক সমীক্ষা থেকে জিডিপি, প্রবৃদ্ধির এবং প্রবৃদ্ধির হার, এডিপি (বার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা), পঞ্চ বার্ষিকী পরিকল্পনা কোন সাল থেকে কোন সালে করা হইছে, কি কি লক্ষ্য ছিল। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য বা MDG তে আমাদের অর্জন;
দারিদ্র বিমোচন নেওয়া বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা যেমন কাজের বিনিময়ে খাধ্য, বিধবা ভাতা ও বয়স্ক ভাতা।
রাজস্ব নীতি – কত টাকা ট্যাক্স ফ্রি, কোন খাত ট্যাক্স ফ্রি, মুদ্রাস্ফীতি, মুদ্রা,
(৫) বাংলাদেশের শিল্প ও বাণিজ্য: – ৩ নম্বর
শিল্প উতপাদন ও আমদানি রপ্তানির উল্লেখযোগ্য কিছু তথ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তথা বাংলাদেশ ব্যাংক সহ অন্যান্য ব্যাংকের প্রধান প্রধান তথ্য, রিজার্ভ, রেমট্যান্সের সর্বেশেষ তথ্য, গার্মেন্টস শিল্পের উল্লেখযোগ্য কিছু তথ্য
(৬) বাংলাদেশের সংবিধান: – ৩ নম্বর
এই অংশটি ৩ নম্বর থাকলেও এই অংশটি আসলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ শুধুমাত্র বাংলাদেশের সংবিধান উপরেই বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করতে হয় যা বাংলাদশ বিষয়াবলী ২য় পত্র নামে পরিচিত।
মূলত এই অংশে বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কিত তথ্য। মূলত সংবিধানের প্রস্তাবনা ও বৈশিষ্ট্য, মৌলিক অধিকার ও রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি, সংবিধানের সংশোধন সমূহ ইত্যাদি।
** সংবিধান সম্পর্কিত ছোট বই নীলক্ষেতে পাওয়া যায় এছাড়া ওয়েব সাইটে এর পিডিএফ ডাউনলোড করে নিতে পারেন।
(৭) বাংলাদেশের রাজনৈতিক ব্যবস্থা: – ৩ নম্বর
“রাজনৈতিক দল সমূহের গঠন, ভূমিকা ও কার্যক্রম, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের পারস্পরিক সম্পর্ক, সুশীল সমাজ ও চাপ সৃষ্টিকারী বিভিন্ন গোষ্ঠির নাম”
অর্থাৎ রাজনৈতিক দলগুলোর বৈশিষ্ট্য, ভূমিকা এবং এদের মধ্যে ইতিহাস, দুই একটা NGO এর নাম এবং তাদের কার্যক্রম।
(৮) বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা: – ৩ নম্বর
“আইন, শাসন ও বিচার বিভাগসমূহ, আইন প্রণয়ন, নীতি নির্ধারণ, জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা কাঠামো, প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস ও সংস্কার”
এখানে আইন, শাসন, বিচার বিভাগ মানে এই অংশগুলো সংবিধান থেকেই পড়তে হবে।
সংবিধানের ৪৮ নং অনুচ্ছ্বেদ থেকে শেষ পর্যন্তই এইগুলো আসে।
স্থানীয় প্রশাসনিক কাঠামোতে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন, সিটি কর্পোরেশন এগুলোর গঠন মানে কতজন মেম্বার এসব, চেয়ারম্যান, মেয়র সহ সদস্য সংখ্যা ইত্যাদি। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, সায়িত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের নাম, নতুন গঠিত মন্ত্রণালয় এর নাম ইত্যাদি।
(৯ )অন্যান্য বিষয় সমূহ: – ৩ নম্বর
এর মধ্যে বাংলাদেশের জাতীয় অর্জন, বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনাসমূহ, জাতীয় পুরস্কার, বাংলাদেশের খেলাধুলাসহ চলচ্চিত্র, গণমাধ্যম- আগের প্রশ্ন অনুযায়ী।
উল্লেখ্য বিষয়গুলোতে বিভিন্ন প্রশ্ন।
এ সম্পর্কিত বিভিন্ন বই ফলো করা যেতে পারে
১) সাধারণ জ্ঞানঃ আজকের বিশ্ব
২) প্রফেসরস এর কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স
৩) বিসিএস অ্যাসুরেন্স ডাইজেস্ট
৪) বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা
৫) অর্থনৈতিক সমীক্ষা
এখন আসি সিলেবাসে কি কি ভাগে ভাগ করা আছে তা আছে সিলেবাস ভিত্তিক বিশ্লেষণে
লিংকঃ http://goo.gl/Ylp4wz
পরবর্তী পর্বে অবশিষ্ট বিষয়গুলোর বিশ্লেষণ দেওয়া হবে।
ধন্যবাদ 🙂 পরবর্তী পর্ব কবে পাওয়া যাবে ?
ধন্যবাদ
Thanks.