বিসিএস লিখিতঃ
বিসিএস লিখিত পরীক্ষায় জেনারেল ও বোথ ক্যাডারে পৃথক করে মোট ৯০০ নাম্বার করে থাকে। এই ৯০০ নাম্বার থেকে কেউ ৫০% অর্থাৎ ৪৫০ পেলে লিখিত পরীক্ষায় পাস বলে বিবেচিত হয়ে ভাইভার জন্য সিলেক্ট হবেন। তবে লিখিত পরীক্ষায় কেউ যদি প্রতিটি সাবজেক্টে ৩০% এর চেয়ে কম নাম্বার পান অর্থাৎ ২৯/২৮/১৫ রেঞ্জে পান তাহলে শূন্য নাম্বার পেয়েছেন বলে বিবেচিত হবেন।
আমি আবারো বলছি ৩০% এর চেয়ে কম মাকর্স আপনার মোটের উপর কাউন্ট হবে না। তবে সুখের কথা হল, কোন সাবজেক্টে শূন্য মাকর্স পেয়েও যদি কেউ গড়ে মোট ৪৫০
পেয়ে যায় তাহলে লিখিত টিকিট তাঁর হাতে হবে। এখন কথা হল জেনারেল ও প্রফেশনাল বা বোথ ক্যাডারে কিভাবে নম্বর বন্টন হয় তাই তো? বলছি, কেউ যদি শুধু জেনারেল ক্যাডারে ৯০০ পরীক্ষা দিয়ে ৫০% পান তাহলে শুধু জেনারেল ক্যাডারে পাস করবেন।
অপরপক্ষে কেউ যদি মোট ৯০০ নাম্বারে শুধু প্রফেশনাল ক্যাডারে ৫০% পেয়ে পাস করেন সেক্ষেত্রে তাঁকে প্রফেশনাল ক্যাডারে পাস বলে বিবেচিত হবেন। তবে Academic discipline মেজরিটি সাবজেক্টের উপর আলাদা ২০০ নাম্বারে পরীক্ষা দিতে হবে। আবার জেনারেল ও প্রফেশনাল উভয় ক্যাডারে যারা আলাদা আলাদা ৫০% করে নাম্বার পেয়ে পাস করেন তখন সে বোথ ক্যাডারে পাস করেছেন বলে বিবেচিত হবেন। এই হল জেনারেল, প্রফেশনাল ও বোথ ক্যাডারের হিসেব বন্টন।
বিসিএস ভাইভাঃ
ভাইভাতে মোট নাম্বার থাকে ২০০। এই ২০০ নাম্বার থেকে ৫০% মাকর্স পেলে অর্থাৎ ১০০ নাম্বার পেলে পাস বলে বিবেচিত হবেন। ৫০% অর্থাৎ ১০০ নাম্বার থেকে ৯৯ নাম্বার পেলেও এখানে কাজ হয় না বলে অধিকাংশ ক্যান্ডিডেট ভাইভাতে ফেইল করে। তবে সকলের ক্ষেত্রে একই কথা প্রযোজ্য নয়। সুতরাং লিখিত পরীক্ষার ৪৫০ নাম্বার ও ভাইভা পরীক্ষার ১০০ নাম্বার মোট=(৪৫০+১০০)=৫৫০ নাম্বার পেলে পাস বলে বিবেচিত হবেন। তবে এর চেয়ে বেশি মাকর্স পেলে যে কেউ তাঁর কাঙ্ক্ষিত ক্যাডার পেতে পারেন। এভাবে পিএসসি লিখিত ও ভাইভা শেষ হওয়ার পর একে একে সকল শিক্ষার্থীদের রেজাল্টের তালিকা প্রকাশ করে সবোর্চ্চ নাম্বার থেকে শুরু করে সার্কুলারের শূন্যপদ অনুযায়ী একে একে সবাইকে ক্যাডার দেওয়া হয়।
এভাবে সার্কুলারের শূন্যপদ পূরণ করতে করতে এক পর্যায়ে ফিলাপ হলে বিগত প্রতিটি বিসিএস থেকে ফাঁকা শূন্যপদের অনুসারে বাকিদেরকেও ক্যাডার দেওয়া হয়। তবে সার্কুলারের শূন্য পদ বাড়তেও পারে। যেমন ৩৬তম বিসিএসে প্রভাষক পদে বাংলাতে সার্কুলারে ছিল ২৩টি পদ তবে পিএসসি পাস করালেন ৬২ জনকে। আবার প্রাণিবিদ্যাতে পদ সংখ্যা ছিল ৭০টি আর পাস করল ৬৬ জন। অর্থাৎ সার্কুলারে যতজন চাওয়া হয়েছে তা পূরণ হয় নি। এভাবে প্রতিটি বিসিএসে শূন্য পদ খালি থাকে। আর যারা ভাইভাতে কম নাম্বার পান তারাই নন-ক্যাডারে তালিকাভূক্ত হবেন। প্রতিটি বিসিএসে এই সিস্টেমেটিক অনুসরণ করা হয়।